
কংক্রিটের শহর ছেড়ে প্রকৃতির ছোঁয়া লাগাতে গ্রামে যান বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সাদিয়া ইসলাম সূচনা। সেখানে গিয়ে ফুফাতো ভাই রিমনের সঙ্গে পদ্মা নদীতে নৌ ভ্রমণে বের হন।








নৌকায় বসে মোবাইল ফোনে সেলফিও তোলেন দুই ভাই-বোন। কিন্তু হঠাৎ তাদের নৌকাটি ডুবে যায়। এতে তারা নিখোঁজ হন।
নৌকাডুবির ৮দিন পর শনিবার সকালে সূচনা ও রিমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে সূচনার মোবাইল ফোনে রয়ে গেছে ভাই-বোনের একসঙ্গে তোলা শেষ সেলফি।








এর আগে, ২৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ হারুপুর নবগঙ্গা এলাকায় পদ্মা নতীতে এ ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী মহানগর নৌ-পুলিশের ওসি মেহেদি মাসুদ জানান, শনিবার সকালে পদ্মায় লাশ দুটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। নদীর তীরে থাকায় স্থানীয়রাই লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।








রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে ১৩ যাত্রী নিয়ে রাজশাহীর নবগঙ্গা এলাকায় পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ওই সময় স্থানীয়দের সহায়তায় ১১ জনকে উদ্ধার করা হলেও সূচনা ও রিমন নিখোঁজ ছিলেন। লাশ না পেয়ে দুদিন পর উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।








সাদিয়া ইসলাম সূচনা রাজধানীর বেসরকারি এআইইউবি ইউনিভার্সিটির বিবিএ তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী ছিলেন। তিনি ধানমন্ডিতে থাকতেন। রাজশাহীর পবা উপজেলার খোলাবোনা এলাকায় চাচা জালাল উদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে এসে পদ্মায় নৌ ভ্রমণে যান তিনি। রিমনের বাড়ি নওগাঁয়। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন।
Leave a Reply