
মা’র্কিন গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষণায় বড় সাফল্য মিলল। সম্প্রতি নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা চাঁদে জলের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন। গবেষকরা জানাচ্ছেন, চন্দ্রপৃষ্ঠে খাদ এবং গর্তগু’লিতে প্রচুর পরিমাণে জল উপস্থিত আছে।








তবে সেই জল পানের অযোগ্য এবং জলের মতো তরল আকার নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে নাসার এই নতুন আবি’ষ্কার চাঁদে প্রাণের উপস্থিতি সম্পর্কে গবেষণার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে দিল বলেই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি নাসার স্ট্যাটোস্ফেরিক অবজারভেটরি ফর ইনফ্রারে’ড অ্যাস্ট্রোনমি তথা সোফিয়ার তরফ থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠে এবং গর্তগু’লিতে জলের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত করা হয়েছে।








এর ফলে চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রাণের উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা প্রবল বলেই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। উল্লেখ্য, এর আগে চাঁদে হাইড্রোজেনের উপস্থিতি মিললেও এইচটুও অর্থাৎ জলের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানাতে পারেনি নাসা।
নাসার গবেষকদের মতে, চন্দ্রপৃষ্ঠে উপস্থিত এই জলের উপস্থিতি ‘হতে পারে আ’গ্নেয়গিরির অ’গ্নুৎপাত অথবা আন্তঃগ্রহ ধূলিকণা এবং সৌর বাতাস থেকেও চন্দ্রপৃষ্ঠে জল আসতে পারে।
চাঁদে জলের উপস্থিতি সম্পর্কে এখনই নিশ্চিত ভাবে কোনো ধারণা দিতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। সোফিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ক্লেভিয়াস ক্লেটারের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠে জলের উপস্থিতির খোঁজ মিলেছে।








বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, চাঁদের যে সব জায়গাতে জলের উপস্থিতি মিলেছে সেই সব জায়গার তাপমাত্রা হিমা’ঙ্কের ২৬১ ডিগ্রী ফারেনহাইটের থেকে কম। হিমশীতল আবহাওয়ার জন্য চন্দ্রপৃষ্ঠে উপস্থিত জল বরফের আকারে রয়েছে বলেই মনে করছেন তারা। নাসার গবেষকদের এই আবি’ষ্কার স্বভাবতই চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রাণের উপস্থিতি সম্পর্কে গবেষণা করতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Leave a Reply