
গত ২৮ আগষ্ট শুক্রবার মধুমতী নদীতে সপরিবারে নৌকা ভ্রমন করতে গিয়ে কালনাঘাট এলাকায় ট্রলার থেকে পড়ে নদীর স্রোতে ভেসে যায় পুলিশ সদস্য মুসা ও তার শিশু পুত্র আনাছ।








এরপর রোববার বাবা মুসার লাশ ও মঙ্গলবার শিশু সন্তান আনাসের লাশ ভেসে উঠে নদীতে।
৬ মাসের ছেলে আনাসকে নিয়ে সন্ন্যাসী বেশে নদীতে ভেসে বেড়াচ্ছেন মুসা—নদীতে নিখোঁজ হওয়ার আগের রাতে এমন স্বপ্ন দেখার কথা মুসা স্ত্রীকে বলেছিলেন। সেই স্বপ্নের ঘটনাই সত্যি হলো।
এ কথা বলে আর্তনাদ করছিলেন নড়াইলের পুলিশ সদস্য আবু মুসা রেজওয়ানের স্ত্রী সাজিয়া খানম।








শোকে হতবিহ্বল স্ত্রী সাজিয়া বিছানায় নির্বাক হয়ে আছেন। মাঝেমধ্যে বুক চাপড়াচ্ছেন আর বলছেন, ‘আমার সোনার সংসার, সুখের সংসার সব শেষ হয়ে গেল।’
খুলনার এপিবিএনএ কর্মরত পুলিশ সদস্য মুশা ছুটিতে বাড়ি এসে বোন, ভগ্নিপতি তাদের সন্তানসহ ৮ জন মধুমতি নদীতে ট্রলারে ঘুরতে বের হয়।
একপর্যায়ে ট্রলারের স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেলে স্রোতের টানে প্রচণ্ড বেগে নির্মাণাধীন সেতুর পিলার ও ক্রেন বহনকারী পল্টুনে আঘাত লাগে। এ সময় পিতা মুসার কোলে থাকা শিশু পুত্র আনাস নদীতে পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করার জন্য মুসা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এরপর থেকে শিশু পুত্রসহ পিতা মুসা নিখোঁজ হন।








লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল গোপালগঞ্জ এলাকার কাশিয়ানী থানার আওতায়, তাদের সঙ্গে কথা বলে লাশ পোস্টমর্টেম ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply