
মাদরাসার এক শিক্ষার্থীকে মেয়ে বানিয়ে দিনের পর দিন ধ’র্ষ’ণ করেছেন এলাকায় ‘হু’জুর’ বলে ব্যাপক পরিচিত এক মাদরাসা শিক্ষক। ময়মনসিংহের ঈ’শ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চে’য়ারম্যানের কাছে মেয়ের পরিবারের লোকজন বি’চার চাইতে গেলে ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
জানা গেছে, অ’ভিযুক্ত ব্যক্তি উম্মাহাতুল মোকমেনিন আদর্শ মহিলা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক মাওলানা আবুল মনসুর। উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের কান্দুলিয়া গ্রামের মো. বছির উদ্দিনের ছেলে।
গত প্রায় ১০ বছর আগে তিনি পাশের উচাখিলা বাজারের জমি ক্রয় করে বাড়ি করেন। বাসার সামনেই গড়ে তোলেন মাদরাসা। কোরআন শিক্ষার পাশপাশি একাধিক শিক্ষক রেখে তিনি এখানে কোচিং ব্যবসাও করেন। এলাকার প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী মাদরাসাটিতে পড়াশোনা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল মনসুর এলাকাতেই দুটি বিয়ে করেছেন। দুই স্ত্রীও এক সঙ্গে বসবাস করেন। এ অবস্থায় পাশের একটি গ্রামের কিশোরীকে ‘মেয়ে’ বানিয়ে ওই বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন।
একপর্যায়ে ওই কিশোরীর পরিবারকে রাজি করিয়ে নিজ খরচে মাদরাসায় রেখেই পড়াশোনা করানোর দায়িত্ব নেন। এর মধ্যে তার কু-মতলবের কারণে ওই কিশোরী তার কাছ থেকে বাড়িতে চলে যায়। বেশ কয়েকদিন আর মাদরাসায় আসেনি ওই ছাত্রী।
এ ব্যাপারে কিশোরীর মা জানান, তার মেয়ে আর মাদরাসায় যাবে না বলে মন খারাপ করে থাকে। আর কোনো কিছুই বলে না। এ অবস্থায় একদিন হুজুর বাড়িতে এসে অনেক হাদিসের কথা বলে ফের মেয়েকে নিয়ে যায়। মাসখানেক পরে মেয়ে আবার বাড়িতে চলে এসে জানায়,
বিভিন্ন শপথ করে হুজুর তার সঙ্গে ‘স্বামী-স্ত্রীর মতো ব্যবহার’ করেছে এবং প্রতিবাদ করায় বিয়ে করবে বলে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে গত শুক্রবার হুজুরকে ডেকে আনা হয় এবং তার উপস্থিতিতে হুজুর কর্তৃক দিনের পর দিন ধ’র্ষ’ণের বর্ণনা দেয় কিশোরী।
চেয়ারম্যান মোতব্বিরুল ইসলাম জানান, মেয়েকে ধ’র্ষ’ণের ঘটনার সত্যতা মেলে হুজুরের জবান’ব’ন্দি থেকেই। কারণ তিনিই ঘটনার জন্য বেশ কয়েকবার ক্ষ’মা চেয়েছেন। পরে মেয়ের পরিবারকে বলেছেন থানায় যেতে।
Leave a Reply